ওমর ফারুক (শামীম) ব্যুরো চীফ, ইউরোপ: গত ২৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাহিরে ৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্র, ৬ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রী ও ৩০ বছর বয়সী একজন মহিলা শিক্ষককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় নজিরবিহীন দাঙ্গা দেখল আয়ারল্যান্ড।
ছুরিকাঘাত হামলার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই, দাঙ্গাবাজরা পুলিশের ১১টি গাড়ি ধ্বংস করে, ১৩টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং দাঙ্গা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
হামলাকারী একজন বিদেশী নাগরিক এমন মিথ্যে গুজব তুলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে অতি ডানপন্থী আইরিশরা এই মিথ্যে গুজব তুলে এই হামলায় অংশ নেয়।
একটি ইমিগ্রেশন অফিসেও এই হামলাকারীরা হামলা চালায়।
গার্ডার কমিশনার ড্রিউ হ্যারিস বলেছেন, ছুরিকাঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে অভিবাসীদের উপর ঘৃণার পরিবেশ সৃষ্টির কারনে এই “সহিংসতার প্রাদুর্ভাব” তৈরি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এমন দৃশ্য যা আমরা আয়ারল্যান্ডবাসী কয়েক দশক ধরে দেখিনি।
তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতায় তিনটি বাস ও একটি ট্রামও ধ্বংস হয় এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
আইরিশ পুলিশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে উত্তর আয়ারল্যান্ডের দুটি পুলিশ সার্ভিস (পিএসএনআই) জলকামান যান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পিএসএনআই বলেছে যে তারা শুধুমাত্র “গার্দা” (আইরিশ পুলিশ) অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হবে।
দাঙ্গার অভিযোগে ডাবলিনের আদালতে ৩২ জন হাজির করা হয়েছে যার মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।
এই ঘটনায় বাংলাদেশ সহ সকল আয়ারল্যান্ড অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বাংলাদেশি-আইরিশ নাগরিক বলেন, তিনি ২০০১ সাল থেকে আয়ারল্যান্ডে বসবাস করতেছেন। দীর্ঘ এই আয়ারল্যান্ড জীবনে এমন ঘটনা কখনো দেখেননি। এই ঘটনায় সকল বাংলাদেশিদের মধ্যে ভয় কাজ করতেছে।